নতুন বছরের শুরুতেই ছিল হাড় কাঁপানো শীত। তীব্র শীতে অসহনীয় জনজীবনে দুর্ভোগে উত্তরাঞ্চলের মানুষ।
হাড় কাঁপানো শীতে কম্বল পেয়ে খুশি নৈশ্যপ্রহরী মতিউর রহমান। ঠাকুরগাঁওয়ের রাণীশংকৈল উপজেলার নেকমরদ বাজারে দীর্ঘ সময় ধরে নৈশ্যেপ্রহরীর দায়িত্বে আছেন তিনি।বয়স ৮৫ পেরিয়েছে, শারীরিক ভাবে অসুস্থ হলেও দীর্ঘ দিন ধরে বাজারে নৈশ্যপ্রহরী হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন তিনি৷অনেক কষ্টে তীব্র শীতে দায়িত্ব পালন করতে হয় তাকে। তবুও জীবিকার তাগিদে হাড় কাঁপানো শীতে বাজারের ধন-সম্পদ রক্ষায় দায়িত্ব পালন করছেন তিনি।
সোমবার বিকেল ৪ টায় রাণীশংকৈল উপজেলার সকল বাজারে দায়িত্বরত ৪০ জন নৈশপ্রহরীর মাঝে শীতবস্ত্র বিতরণ করেন রাণীশংকৈল থানা পুলিশ।
নৈশপ্রহরী মতিউর রহমান বলেন, বছরের শুরুটাই এমন শীত পুরো শরীর ঠান্ডা করে দেই। ভোর রাতে বৃষ্টির মত শীত পরে তখন খুব কষ্ট হয়৷ কিন্তু জানমাল রক্ষার দায়িত্ব যেহেতু নিয়েছি কষ্ট হলেও থাকতে হবে। আজকে ওসি স্যার কম্বল দিলেন, কম্বলটা অনেক মানসম্মত। অনেকটা শীত লাঘব হবে৷ আর রাতে কম্বলটা জড়ায় দিয়ে দায়িত্ব পালন করা যাবে।
নৈশপ্রহরী মকবুল বলেন, ভারতটা হামার কাছাকাছি, খুবে ঠান্ডা গে। এই ঠান্ডাত হামা পাহারা দেছি। কি যে কষ্ট কহিবার মত না৷ ওসি কম্বল দিলে এইডা জরায় এলা ঠান্ডাটা কাটিবা পারিম।
রাণীশংকৈল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা এস এম জাহিদ ইকবাল বলেন, যারা নৈশপ্রহরীর দায়িত্বে আছেন তারা সকলে জনগণের নিরাপত্তা দিচ্ছেন। রাণীশংকৈল উপজেলার মানুষ তীব্র শীতে অনেক কষ্টে আছেন। বিশেষত নৈশপ্রহরীরা হাড় কাপানো শীতে দায়িত্ব পালন করে যাচ্ছেন৷ আমরা চেষ্টা করেছি তাদের পাশে দাড়িয়ে কিছুটা কষ্ট লাঘব করার৷ বিভিন্ন শ্রেণী-পেশার মানুষের মাঝে আমাদের এ কর্মসূচি অব্যহত থাকবে।
দৈনিক কলম কথা সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।